লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি তাঁর ৪২ বছর (১৯৬৯-২০১১) শাসনামলে লিবিয়ার নাগরিকদের যেসব সুবিধা দিয়েছিলেন
লিবিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফি তাঁর ৪২ বছর (১৯৬৯-২০১১) শাসনামলে লিবিয়ার নাগরিকদের যেসব সুবিধা দিয়েছিলেনঃ
১.সবাই বিদ্যুতের সুবিধা পেত কিন্তু তাদের কাউকে বিদ্যুতের বিল দিতে হতো না।
২.লিবিয়ার সব ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ।এসব ব্যাংক থেকে নাগরিকরা Loan নিলে সুদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ত না।
৩.গাদ্দাফি বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে একটি বাড়ি পাওয়ার।এ জন্যই তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন,প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আবাসনের ব্যবস্হা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর নিজের মা বাবার জন্য কোনো বাড়ি
বরাদ্দ করা হবে না।গাদ্দাফি নিজেও তাঁর স্ত্রী ওমাকে নিয়ে তাঁবুতে বসবাস করতেন।১.সবাই বিদ্যুতের সুবিধা পেত কিন্তু তাদের কাউকে বিদ্যুতের বিল দিতে হতো না।
২.লিবিয়ার সব ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ।এসব ব্যাংক থেকে নাগরিকরা Loan নিলে সুদ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ত না।
৩.গাদ্দাফি বিশ্বাস করতেন, প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে একটি বাড়ি পাওয়ার।এ জন্যই তিনি ঘোষনা দিয়েছিলেন,প্রত্যেক নাগরিকের জন্য আবাসনের ব্যবস্হা না হওয়া পর্যন্ত তাঁর নিজের মা বাবার জন্য কোনো বাড়ি
৪.লিবিয়ার প্রত্যেক নবদম্পতিকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫০হাজার ডলার দেওয়া হতো,যাতে তাঁরা বাড়ি কিনে নতুন জীবন শুরু করতে পারেন।
৫.সম্পূর্ন বিনা মূল্যে শিক্ষা ও চিকিত্সা সেবা দেওয়া হত।গাদ্দাফি ক্ষমতা নেওয়ার পূর্বে শিক্ষার হার ছিল ২৫%,তাঁর শাসনআমলে হয়েছে ৮৩%।
৬.কেউ কৃষি খামার করতে চাইলে সরকার ভূমি,বীজসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বিনামূল্যে সরবারহ করত।
৭.কোন কারণে লিবিয়ার কোনো নাগরিককে শিক্ষা অথবা চিকিত্সা সেবা নিতে বিদেশ যেতে হলে সরকার সব ব্যয় বহন করত।
৮.লিবিয়ার তেল বিক্রির একটা অংশ প্রত্যেকনাগরিকের ব্যাংক হিসাব নম্বরে সরাসরি জমা হতো ।
৯.সন্তান জন্ম দিলে প্রত্যেক নারীকে পাঁচহাজার ডলার দেওয়া হতো
(তথ্যসূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো,১০পৃষ্ঠ -৪র্থ কলাম ,২৪ অক্টোবর,২০১১।)
★অথচ, তিনি লিবিয়ার নাগরিকদের এতো সুবিধা দেওয়ার পরও ওনাকে অপ্রত্যাশিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলায় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ২০১১সালের ২০ অক্টোবর গাদ্দাফির মৃত্যু হয় ।
No comments